শাপলা প্রতীক না দিলে শুধুমাত্র আইনি পথে না হেঁটে, এবার রাজপথেই লড়াই করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে টানাপোড়েন বাড়তে থাকায় দলটি ঢাকায় বড় রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীক তারা ভাবছেন না। প্রতীক না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
গত ১৯ অক্টোবর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম। বৈঠকে ইসি বিকল্প প্রতীক প্রস্তাব করলেও এনসিপি শাপলা প্রতীকের দাবিতে অনড় ছিল।
দলীয় সূত্র জানায়, শাপলা প্রতীক না দেওয়ার পেছনে শুধু প্রতীক নয়—রাজনৈতিক অধিকার ও অংশগ্রহণের প্রশ্নও জড়িত। দলটি ইতোমধ্যে ইসির কাছে এ বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা চেয়েছে। তবে এবার তারা শুধু আইনি পথে নয়, রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করতে চায়।
গত ২২ জুন দলীয় নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এনসিপি। সে সময় শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন—এই তিনটি প্রতীক প্রস্তাব করেছিল দলটি। পরে ৩ আগস্ট ও ২৪ সেপ্টেম্বর পছন্দ সংশোধন করে সাদা বা লাল শাপলা প্রতীকের দাবি জানায়। কিন্তু ২৩ সেপ্টেম্বর ইসি শাপলা বাদে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা থেকে নতুন একটি বেছে নিতে বলে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানায়, আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিভাগীয় পর্যায়ে সমন্বয় সভা করে কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, শাপলা না দিলে আমরা আদালতে নয়, রাজপথেই লড়ব। কমিশন যদি আমাদের ওপর অন্য প্রতীক চাপিয়ে দিতে চায়, আমরা জনমঞ্চে সেটার অগ্রহণযোগ্যতা ব্যাখ্যা করব।
দলের নেতারা মনে করেন, অন্য রাজনৈতিক দলের চাপ বা আগ্রহের কারণেই শাপলা প্রতীকে জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের মতে, জাতীয় প্রতীকের নকশা, রঙ ও বৈচিত্র্যের দৃষ্টান্ত আগে থেকেই আছে—তাই ন্যায্যতা রক্ষায় ইসিকে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দিতে হবে।




